দোলা পরিবহন ১২ই এপ্রিল ২০০০ সালে ঢাকা নাজিরপুর রুটে দুটি টাটা ৯০৯ মডেলের গাড়ি দিয়ে যাত্রা শুরু করে। প্রাথমিকভাবে শুধু রাতে ফেরী পারাপার চলাচল করলেও পরে লঞ্চ পারাপার শুরু হয়। ঢাকা হতে নাজিরপুরের রুট পরে পিরোজপুর পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। পরবর্তীতে নতুন রুট হিসেবে ঢাকা বাগেরহাট চালু হয়। বর্তমানে পিরোজপুর রুট আরো সম্প্রসারিত হয়ে জিয়ানগর-চন্ডিপুর এবং বাগেরহাট রুট মোড়েলগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। শুরু হতে দোলা পরিবহন যাত্রী সেবার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকেছে। সময়ের সাথে সাথে যাত্রীদের চাহিদার সাথে মিল রেখে গাড়ির মান অব্যাহতভাবে পরিবর্তন করে যাচ্ছে। শুরুতেই টাটা গাড়ি দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ গাড়ি জাপানি হিনো বা মিতশুবিশী মডেলের। পদ্মা সেতু উদ্ভোবনের বিষয়টি মাথায় রেখে গাড়ি পরিবর্তন/সংস্কার নিয়মিত করছে। সেবার মান বাড়াতে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য নেয়া হয়েছে। বর্তমানে যাত্রী সহজের মাধ্যমে অনলাইনে ঘরে বসে টিকিট ক্রয় করতে পারছে। দীর্ঘ পথচলায় অভিক্ষতা থেকে কর্তৃপক্ষ মনে করে অতিরিক্ত গতির কারণে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত চালক/ হেলপারসহ ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের পরিবারে নেমে আসে বিপর্যয়। তাই দোলা পরিবহন "গতির চেয়ে নিরাপত্তা জরুরী" এই স্লোগানকে বেছে নিয়েছে এবং চালকদের বিভিন্ন ধরণের অরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে এই শ্লোগান বাস্তবায়নে সচেষ্ট রয়েছে। যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ যাত্রা বিরতির জন্য ২০১৭ সালে গোপালগঞ্জজর গোবরায় ঢাকা-খুলনা সড়কে দোলা ফিলিং স্টেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফুয়েল নেয়ার সময় যাত্রা বিরতিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন টয়লেটের ব্যবস্থা। যাত্রীদের হালকা রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য রয়েছে দোলা ফাস্টফুড এন্ড ক্যাফে। নামাজের জন্য রয়েছে আলাদা নামাজের ঘর। যাত্রীদের সেবার মান বাড়াতে আরো বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ/মতামত গ্রহণের জন্য মেইল, ফেসবুকপেজ এবং নির্ধারিত কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হয়েছে। যাত্রীদের প্রতিটি অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হয়। দোলা পরিবহনের সাথে থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছে।